দুই তরুণ উদ্যোক্তার হাত ধরে তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার প্ল্যাটফর্ম – YouthX
Published : 09:43, 5 November 2025
যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা, খেলাধুলা আর ঘোরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত, সেখানেই দুই তরুণ– মেহেদী হাসান কাওছার (সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এবং মো. শরীফ মোল্লা (সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক) নিয়েছিলেন এক ভিন্ন সিদ্ধান্ত। তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের তরুণদের জন্য কিছু অর্থবহ কাজ করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তারা পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত হন বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, সামাজিক সংগঠন ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। যখন তাদের সহপাঠীরা ছুটির দিনে বিনোদনে সময় দিতো, তখন তারা নিজেদের পকেট খরচ থেকে টাকা জমিয়ে যেতেন সেমিনার, ট্রেনিং ও কর্মশালায় — নিজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য।
তাদের তিন বছরের নিরলস চেষ্টা থেকে জন্ম নেয় তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠান – Strength Foundation ২০২৪ সালের জুন মাসে। এই প্রতিষ্ঠানের সহ - প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হলেন মেহেদী হাসান কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক হলেন মো. শরীফ মোল্লা। যার লক্ষ্য দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তারা পরিচালনা করেছেন রোজায় ঈদ বাজার বিতরণ, কোরবানির ঈদে পশু কোরবানি, শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ, এতিমখানায় বনভোজন আয়োজন এবং ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে থাকা— যার স্বীকৃতি হিসেবে তারা ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে দেশ সেবা লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এরপর তারা প্রতিষ্ঠা করেন সেরা ঝুড়ি, যা গ্রামের অর্গানিক ও খাঁটি পণ্য শহরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়।
সমাজসেবার অভিজ্ঞতা ও বাস্তব শিক্ষার ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের মে মাসে তারা শুরু করেন YouthX — একটি Youth Empowerment & Entrepreneur Development Platform. যার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ, আত্মনির্ভর ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।
তারা দেখেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ, কিন্তু তাদের অনেকেই দক্ষতার ঘাটতি ও দিকনির্দেশনার অভাবে সম্ভাবনা হারাচ্ছে। এই বাস্তবতা থেকেই YouthX-এর জন্ম— একটি প্ল্যাটফর্ম যা তরুণদের শিক্ষা থেকে উদ্যোগে, আইডিয়া থেকে বাস্তবে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
শুরুতে অনেকেই তাদের উদ্যোগকে হাস্যকর ভেবেছিল, কেউ কেউ ট্রোলও করেছিল। কিন্তু তারা থামেননি — কর্পোরেট ট্রেইনার,সফল ব্যবসায়ী, সরকারি প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে YouthX-কে বাস্তব রূপ দেন।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই YouthX দেশজুড়ে তরুণদের অনুপ্রেরণার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। তাদের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো হলো।
1️ দেশের ৩০+ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে YouthX ক্যাম্পাস টিম গঠন।
2️ সফলভাবে আয়োজন National Youth Entrepreneur Conference & Mr. Youth Entrepreneur Award 2025,
যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, কর্পোরেট ট্রেইনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
3️ ১০ জন এক্সিকিউটিভ সদস্য ও ৫ জন উপদেষ্টা প্যানেল গঠন।
4️পাকিস্তানের Pakistan Youth Conclave এর সঙ্গে MoU সই।
5️ YouthX এর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ সম্পন্ন পাকিস্তান, নেপাল ও নাইজেরিয়ায়।
6YouthX-এর মাধ্যমে অনেক তরুণ তরুণী নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছে এবং সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
YouthX-এর লক্ষ্য
•২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে YouthX টিম গঠন।
•২০২৬ সালের মধ্যে দেশের ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কাছে YouthX-এর বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
•২০২৬ সালের National Youth Entrepreneur Conference & Mr. Youth Entrepreneur Award আয়োজন করে দেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা।
•২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে YouthX অ্যাম্বাসেডর টিম গঠন করা। ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যে তরুণ উন্নয়ন সংস্থা গুলো রয়েছে তাদের সাথে MoU স্বাক্ষর করা।
•২০২৭ সালে South Asia Youth Entrepreneurs Conference & South Asia Mr Youth Entrepreneur Award-2027 আয়োজন করা

.png)



