New York 18 September 2025

৭ মার্চেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান টইটম্বুর হয়ে ওঠেনি: তাহের

৭ মার্চেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান টইটম্বুর হয়ে ওঠেনি: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

NYM Desk

Published : 23:24, 25 July 2025

জামায়াতে ইসলামীর সর্বশেষ সমাবেশের মতো শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের সময়ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এত ‘টইটম্বুর হয়ে ভরে ওঠেনি’ বলে দাবি করেছেন দলটির নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত এতবড় সমাবেশ আর কোনোদিনও হয়নি। এখানে আইয়ুব খানের সমাবেশ হয়েছিল। সেই সময়ও এই মাঠের বাউন্ডারি পর্যন্ত লোকে পরিপূর্ণ হয়নি। ইতিহাসের অনেক বড় একটি সমাবেশ হয়েছিল ৭ই মার্চ, সেই সময়ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান টইটম্বুর হয়ে ভরে ওঠেনি। তবে জামায়াতের সমাবেশ শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তারপাশে রমনা পার্কেও ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, তারপাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত জায়গা, টিএসসি থেকে শুরু করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চত্বর পেরিয়ে আরও দূর পর্যন্ত এই সমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছিল। 

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে  জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, মাছ যেমন পানিতে থাকে জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা তেমনি আন্দোলনের মধ্যে পানির মতো অবস্থান করে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি, সংস্কারের কথা বলি, তখন কিছু মানুষ বলে এটা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। 

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, কিছু মানুষ যখন হাসিনামার্কা নির্বাচন চায়, সেটা কি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়? 

একই সঙ্গে, আর কাউকে কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিচার ছাড়া নির্বাচন হবে না, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হবে না, সুতরাং যারা নির্বাচন চান তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা দেবেন না। কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর দেওয়া হবে না। 

সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, মানুষের মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের যে আগুন, সেটা এখনো প্রজ্জ্বলিত আছে। এজন্যই ঠুস করার কথা বললে মানুষ গিয়ে বত্রিশ নম্বরে হাজির হন। এখনো রাত ৩টায় পরীক্ষা পেছানোর কথা বললে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্ররা সচিবালয়ের গেট ভেঙে দেন। এই যে চেতনার উদ্ভব ঘটেছে, সেটি আগামী ছয়মাসে নির্বাপিত হয়ে ছাই হয়ে যাবে, যারা এরকম ভাবছেন তারা সঠিক ভাবছেন না।

Share: