সন্দ্বীপে ঠিকাদারকে মারধর ও চাঁদা দাবি

Published : 20:18, 4 July 2025
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর একজন ঠিকাদারকে অপহরণ, মারধর, চাঁদা দাবি এবং মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৬ জনকে আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মিলাদ উদ্দিন মুন্না একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার হিসেবে পিডিবির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন।
তিনি জানান, গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে এসে অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষে আনুমানিক বিকাল ৬টার দিকে সেনেরহাট তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ফেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- যুবদল নেতা আবদুল করিম, মো. জুয়েল, দিদারুল আলম জিল্লু, মঈনুল শুভ, যুবলীগ নেতা শাহদাত হোসেন ও আলতাফ।
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, তারা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুন্নার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে এবং জোরপূর্বক তাকে অপহরণ করে মুছাপুর ধামের মাস্টারপাড়া স্কুলের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন (স্যামসাং এস২৪ ও সিমফোনি), ৮১,০০০ টাকাসহ একটি হাতব্যাগ, ৭টি ব্যাংক কার্ড, জেড টি আই কর্পোরেশনের ৬টি সাক্ষরবিহীন চেক ও ৩টি ব্যবসায়িক চেক (মোট ২.৫ লক্ষ টাকা মূল্যের)- সব লুট করে নেয়।
পরে ভগ্নিপতি ও এজাহারের ১নং সাক্ষী নেছার উদ্দিন বাবলুর সহায়তায় তিনি সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ বিষয়ে মিলাদ উদ্দিন মুন্না বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মূলত এ হামলা চালানো হয়েছে। আমার কাছ থেকে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ধারণ করতে চেয়েছে সন্ত্রাসীরা। আমি রাজী না হওয়াতে আমাকে এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়েছে। আমি এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ওসি এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।