নিউইয়র্কে বাংলাদেশির ২২ কোটি টাকা জরিমানা

Published : 09:27, 26 May 2025
ইমিগ্রেশন কোর্টের বহিষ্কারের নির্দেশ অমান্য করায় নিউইয়র্কে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে ১.৮২০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২২ কোটি টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা এটর্নি মঈন চৌধুরী।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ওই ব্যক্তির আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন বাতিল হয় এবং ২০০৭ সালে তার আপিল আবেদনও খারিজ করা হয়। পরবর্তীতে তিনি একজন মার্কিন নাগরিক নারীকে বিয়ে করলেও, বৈধ অভিবাসন মর্যাদা পাননি। বর্তমানে তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ নিউইয়র্কে বসবাস করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট সম্প্রতি ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়কালের জন্যে এই জরিমানার নোটিশ প্রদান করেছে। জরিমানাটি ১৯৫২ সালের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের সংশোধিত ধারার আওতায় আরোপ করা হয়েছে।
এটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, বর্তমান কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির প্রেক্ষিতে এই ধরনের মামলায় পুনরায় আবেদন খোলা প্রায় অসম্ভব। তবে তিনি বলেন, “জরিমানা পরিশোধ করে যদি তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান, তবে ১০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে, যেহেতু তার স্ত্রী ও সন্তান মার্কিন নাগরিক।”
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যারা বহিষ্কারের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফেডারেল সুবিধা গ্রহণ করেন, তাদের স্পন্সরদেরও আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি করা যেতে পারে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১,৫৮,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত পাঠাতে সরকারের ‘ফ্রি টিকিট ও $১,০০০ সহায়তা’ কর্মসূচিও চালু রয়েছে।
এই ঘটনাটি অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি বাস্তবায়নের একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।