নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৮.২৯ শতাংশে পৌঁছেছে
Published : 12:28 AM, 8 December 2025
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বর মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৮.২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরের আগের মাসে এই হার ছিল ৮.১৭ শতাংশ। আর গত বছরের নভেম্বরে এই হার ছিল ১১.৩৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মাসের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও সামান্য বেড়েছে। এই বছরের নভেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭.৩৬ শতাংশে, যা অক্টোবরের আগের মাসে ছিল ৭.০৮ শতাংশ। তবে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যের দামে বড় ধরনের স্বস্তি এসেছে। এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল রেকর্ড ১৩.৮০ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের উপর চাপ বৃদ্ধি পেলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে সামান্য স্বস্তি দেখা গেছে। নভেম্বরে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে ৯.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা অক্টোবরে ছিল ৯.১৩ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯.৩৯ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, মাসিক মুদ্রাস্ফীতির হার সামান্য বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় অনেক সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
কয়েক মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি ওঠানামা করছে। তবে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৮ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি এক ধরণের করের মতো। আপনার পুরো মাসিক আয় আপনার পরিবার পরিচালনার জন্য ব্যয় করা হয়। কিন্তু যদি হঠাৎ করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায় এবং আপনার আয় সেই অনুযায়ী না বাড়ে, তাহলে আপনাকে পরিবার চালানোর জন্য টাকা ধার করতে হবে অথবা খাদ্য, পোশাক এবং পরিবহন সহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির হারের তুলনায় কম হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। প্রকৃত আয় কমে যায়।

.png)



